বেশ অনেক বছর পর এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করতে পারলাম।তাও সাত বছর তো হবেই।
সাত বছর হলো আমরা কুষ্টিয়া থেকে চলে এসেছি আব্বুর সাথে।তারপর আর কুষ্টিয়ার পুরানো বন্ধুগুলোর সাথে আর যোগাযোগ করা হয়নি।সব সময়ই বন্ধুগুলোর কথা মনে পড়ে সেখানে কাটানো সময়গুলোর কথা মনে পড়ে।
আজকে আমি ফেসবুকে পুরনো এক বন্ধুর নাম দিয়ে সার্চ দিলাম।মনে করেছিলাম পাবো না।কিন্তু এক বন্ধুকে পেয়ে যাই।তারপর তাকে মেসেজ করি
-শ্রাবণ তুমি কি অন্তর নামে কাওকে চেনো।
কারন শ্রাবণ নামে তো অনেকেই থাকতে পারে তার ওপর এই সাত বছরে চেহারা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।বেশ কয়েক দিন কেটে গেছে কিন্তু কোন সারা শব্দ নেই।
এক সকালে চোখ ডলতে ডলতে ঘুম থেকে উঠলাম।ল্যাপটপ খুলে দেখি একটি মেসেজ এসে রয়েছে।মনে করেছিলাম হয়তো কোন বন্ধু বান্ধব মেসেজ করেছে কিন্তু দেখি শ্রাবণের মেসেজ
-চিনবো না কেন বন্ধু।তুমি তো অন্তর(কাউসার)।ত োমাকে জীবনেও ভুলতে পারবো না।
আমার হৃদয়ের ভেতরে ছলাত করে উঠেছে।এতো বছর পরও আমাকে মনে রেখেছে।আর তাও অন্য নামটিও মনে রেখেছে।শ্রাবণর সাথে পুরানো দিনের অনেক কথা বললাম।আমার কান্না আসতে চাইছিলো কিন্তু নিজেকে সামলে নেই।
শ্রাবণকে বললাম
-দোস্ত অন্যান্য বন্ধুগুলোর ফেসবুক দিবা।আর তাদের নাম গুলো বলবা।সবার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হচ্ছে।
শ্রাবণ যখন সকলের ছবি পাঠাচ্ছিল এবং তাদের নাম বলছিলো তখন এক অজানা কষ্ট মনের ভেতর দানা বাধছিলো।এই বন্ধুগুলোর কাওকে আমার মনে নেই আর সকল নামগুলোও ভুলে গেছি।একেই বুঝি বলে স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া।তখন আমি ফেসবুক বন্ধ করে জলদি একটি ডাইরি নিয়ে বসলাম।দেখতে হবে আমার কয়টি পুরনো বন্ধুর নাম মনে আছে আর তাদের নামই বা কি।কিন্তু ডাইরি নিয়ে বসার কিছুক্ষণ পড়েই আমি নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।এটা আমার সাথে কি হলো।
হাতে গোনা কয়েকজনকে ছাড়া আমি যে কাউকেই মনে করতে পারছিনা।তার মধ্যে আর একজন ছিলো মৃন্ময়।কিন্তু আমার পুরনো বন্ধুগুলোকে কীভাবে ভুলে গেলাম।হয়তো তাদের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছি অনেক খেলাধুলা করেছি কিন্তু কিছুই আমি মনে করতে পারছি না।
সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাদের কল্পনাকে আমার মনে রাখার ক্ষমতাকে এভাবেই বানিয়েছেন।কয়েকজ ন বিশেষ মানুষগুলোকে ছাড়া বাকি সবাইকে ভুলে যেতে হয়।অথবা ভুলিয়ে দেয়া হয়।কিন্তু এর যন্ত্রণা যে কি তিব্র সেটা যার সাথে ঘটে সেই শুধু বুঝতে পারে।
নিজের চোখ মুছে ল্যাপটপ আবার খুললাম।শ্রাবণকে বললাম যে মৃন্ময়ের ফেসবুক নাম বলতে।মৃন্ময়কে মেসেজ করে তার সাথে অনেক কথা বললাম।দেখলাম মৃন্ময় আমার ওপর অভিমান করে রয়েছে।এই সাত বছরে কেন একটিবার তার সাথে যোগাযোগ করিনি।ঐ এলাকায় আব্বুর যে অফিস ছিলো সেখানে নাকি সে আমাদের সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি।আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
এক কথায় দু কথায় অনেকটা সময় কেটে গেছে।একদিন একটি মেয়ের মুখ আমার সামনে ভেসে উঠলো।আমরা তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম।মেয়েটির সাজ গোঁজ সকলের চেয়ে অন্য রকম ছিলো।একেবারে চুপচাপ ধরনের।সে যেন নিরব দর্শক।কিন্তু মেয়েটির নাম মনে পড়ছিল না।এটা আরও কষ্টকর।
শ্রাবণকে মেয়েটির অনেক বর্ণনা দিলাম আর বললাম
-আমার কিছু চাই না।শুধু তুমি মেয়েটির নাম কি এটা কোনোভাবে ভাবে যোগার করো।মাথায় খুব যন্ত্রণা হচ্ছে।খুব কষ্ট।
শ্রাবণ বলল
-এটি তো প্রায় অসম্ভব।এমন বর্ণনা দিয়ে একজনকে খোজা অসম্ভব নয় কি?তবুও আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো।
সত্যি তো আমি যেটা করতে বলছি সেটা তো প্রায় অসম্ভব।আমার চোখে এই মেয়েটিকে খুবই ভদ্র কিউট লাগছে কিন্তু শ্রাবণর চোখে তো অন্য কাউকে ভদ্র মনে হতে পারে।সত্যি এটি প্রায় অসম্ভব।
কিছুদিন পর মৃন্ময়কে একই বিষয় নিয়ে বললাম।সে কি আমাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারবে।যখন মৃন্ময়কে এই বিষয়টি সম্পর্কে বললাম তখন মৃন্ময় বলল
-মেয়েটির বর্ণনা দাও আমি চেষ্টা করে দেখছি।
আমি পুরো বর্ণনা দেওয়ার পর শ্রাবণ একটি মেয়ের ছবি মেসেজ করলো।মেসেজ দেখে আমি কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলাম।যার কথা বলছি সেই মেয়ের ছবি স্ক্রিনে ভেসে রয়েছে।
আমি শ্রাবণকে বললাম
-এই সেই মেয়ে।
মেয়েটির নাম জানার পর আমার শান্তি হলো।
যাক আমার কল্পনা তাহলে ভুল নয়।আমি যেই মেয়েটিকে দেখেছি সেটি এই মেয়েই।শ্রাবণ ভেবেছিলো আমি হয়তো মেয়েটিকে পছন্দ করি কিন্তু এটি সত্যি নয়।হয়তো কোন অনুভূতি আছে মেয়েটির সাথে জুড়িয়ে কিন্তু তা ভালো লাগা নয়।
একটু হলেও মাথার যন্ত্রণা কমলো।
====SraNton Hossain
সাত বছর হলো আমরা কুষ্টিয়া থেকে চলে এসেছি আব্বুর সাথে।তারপর আর কুষ্টিয়ার পুরানো বন্ধুগুলোর সাথে আর যোগাযোগ করা হয়নি।সব সময়ই বন্ধুগুলোর কথা মনে পড়ে সেখানে কাটানো সময়গুলোর কথা মনে পড়ে।
আজকে আমি ফেসবুকে পুরনো এক বন্ধুর নাম দিয়ে সার্চ দিলাম।মনে করেছিলাম পাবো না।কিন্তু এক বন্ধুকে পেয়ে যাই।তারপর তাকে মেসেজ করি
-শ্রাবণ তুমি কি অন্তর নামে কাওকে চেনো।
কারন শ্রাবণ নামে তো অনেকেই থাকতে পারে তার ওপর এই সাত বছরে চেহারা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।বেশ কয়েক দিন কেটে গেছে কিন্তু কোন সারা শব্দ নেই।
এক সকালে চোখ ডলতে ডলতে ঘুম থেকে উঠলাম।ল্যাপটপ খুলে দেখি একটি মেসেজ এসে রয়েছে।মনে করেছিলাম হয়তো কোন বন্ধু বান্ধব মেসেজ করেছে কিন্তু দেখি শ্রাবণের মেসেজ
-চিনবো না কেন বন্ধু।তুমি তো অন্তর(কাউসার)।ত
আমার হৃদয়ের ভেতরে ছলাত করে উঠেছে।এতো বছর পরও আমাকে মনে রেখেছে।আর তাও অন্য নামটিও মনে রেখেছে।শ্রাবণর সাথে পুরানো দিনের অনেক কথা বললাম।আমার কান্না আসতে চাইছিলো কিন্তু নিজেকে সামলে নেই।
শ্রাবণকে বললাম
-দোস্ত অন্যান্য বন্ধুগুলোর ফেসবুক দিবা।আর তাদের নাম গুলো বলবা।সবার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হচ্ছে।
শ্রাবণ যখন সকলের ছবি পাঠাচ্ছিল এবং তাদের নাম বলছিলো তখন এক অজানা কষ্ট মনের ভেতর দানা বাধছিলো।এই বন্ধুগুলোর কাওকে আমার মনে নেই আর সকল নামগুলোও ভুলে গেছি।একেই বুঝি বলে স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া।তখন আমি ফেসবুক বন্ধ করে জলদি একটি ডাইরি নিয়ে বসলাম।দেখতে হবে আমার কয়টি পুরনো বন্ধুর নাম মনে আছে আর তাদের নামই বা কি।কিন্তু ডাইরি নিয়ে বসার কিছুক্ষণ পড়েই আমি নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।এটা আমার সাথে কি হলো।
হাতে গোনা কয়েকজনকে ছাড়া আমি যে কাউকেই মনে করতে পারছিনা।তার মধ্যে আর একজন ছিলো মৃন্ময়।কিন্তু আমার পুরনো বন্ধুগুলোকে কীভাবে ভুলে গেলাম।হয়তো তাদের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছি অনেক খেলাধুলা করেছি কিন্তু কিছুই আমি মনে করতে পারছি না।
সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাদের কল্পনাকে আমার মনে রাখার ক্ষমতাকে এভাবেই বানিয়েছেন।কয়েকজ
নিজের চোখ মুছে ল্যাপটপ আবার খুললাম।শ্রাবণকে
এক কথায় দু কথায় অনেকটা সময় কেটে গেছে।একদিন একটি মেয়ের মুখ আমার সামনে ভেসে উঠলো।আমরা তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম।মেয়েটির সাজ গোঁজ সকলের চেয়ে অন্য রকম ছিলো।একেবারে চুপচাপ ধরনের।সে যেন নিরব দর্শক।কিন্তু মেয়েটির নাম মনে পড়ছিল না।এটা আরও কষ্টকর।
শ্রাবণকে মেয়েটির অনেক বর্ণনা দিলাম আর বললাম
-আমার কিছু চাই না।শুধু তুমি মেয়েটির নাম কি এটা কোনোভাবে ভাবে যোগার করো।মাথায় খুব যন্ত্রণা হচ্ছে।খুব কষ্ট।
শ্রাবণ বলল
-এটি তো প্রায় অসম্ভব।এমন বর্ণনা দিয়ে একজনকে খোজা অসম্ভব নয় কি?তবুও আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো।
সত্যি তো আমি যেটা করতে বলছি সেটা তো প্রায় অসম্ভব।আমার চোখে এই মেয়েটিকে খুবই ভদ্র কিউট লাগছে কিন্তু শ্রাবণর চোখে তো অন্য কাউকে ভদ্র মনে হতে পারে।সত্যি এটি প্রায় অসম্ভব।
কিছুদিন পর মৃন্ময়কে একই বিষয় নিয়ে বললাম।সে কি আমাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারবে।যখন মৃন্ময়কে এই বিষয়টি সম্পর্কে বললাম তখন মৃন্ময় বলল
-মেয়েটির বর্ণনা দাও আমি চেষ্টা করে দেখছি।
আমি পুরো বর্ণনা দেওয়ার পর শ্রাবণ একটি মেয়ের ছবি মেসেজ করলো।মেসেজ দেখে আমি কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলাম।যার কথা বলছি সেই মেয়ের ছবি স্ক্রিনে ভেসে রয়েছে।
আমি শ্রাবণকে বললাম
-এই সেই মেয়ে।
মেয়েটির নাম জানার পর আমার শান্তি হলো।
যাক আমার কল্পনা তাহলে ভুল নয়।আমি যেই মেয়েটিকে দেখেছি সেটি এই মেয়েই।শ্রাবণ ভেবেছিলো আমি হয়তো মেয়েটিকে পছন্দ করি কিন্তু এটি সত্যি নয়।হয়তো কোন অনুভূতি আছে মেয়েটির সাথে জুড়িয়ে কিন্তু তা ভালো লাগা নয়।
একটু হলেও মাথার যন্ত্রণা কমলো।
====SraNton Hossain
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন