রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯

বাস্তবিক জীবন

বাস্তবিক অর্থে আমার জ্ঞান খুব সামান্যই।পৃথিবীর কিছুই আমি দেখতে পারিনি,পারিনি পৃথিবীকে অনুভব করতে।আর ভবিষ্যতেও যে পারবো তারও কোন সম্ভাবনা নেই।
ঘরের কোনায় বসে বসে রাজ্যের বই পড়াই আমার অভ্যাস।এমন দিনও গিয়েছে যখন টেবিল ফ্যানটি ঘুরেই চলেছে আর আমি বই পড়েই যাচ্ছি।আমার পড়া বইয়ের তালিকায় থাকে হিমু,মিসির আলী,বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী,শরত রচনাবলী,কিশোর থ্রিলার এই ধরনের বই।
আমার পড়া বইয়ের তালিকায় বা প্রিয় লেখকদের মধ্যে রবিন্দ্রনাথের কোন জায়গা নেই।এর জন্য আমাকে অনেক কটু কথাও শুনতে হয়েছে।আরে আমার কথা
-আমি তো জোর করে তার ওপর ভক্তি আনতে পারবো না।রবিন্দ্রনাথের বিষয়ে না আসাই ভালো।আমি যাদের লিখা বই পড়ি তাদের মতো ভাবতে চেষ্টা করি।তাদের পথ অনুসরণ করে কল্পনার জগৎ তৈরি করার চেষ্টা করি।আমার যে নিজের কোন ভাবনার জগৎ নেই তাও নয়।অবশ্য আমি দুনিয়ার কতোটুকুই বা দেখেছি।তার পরও আমার ভাবনার জগৎ বলতে আমার বাড়ি থেকে কলেজ এবং সেই পুরানো রাস্তাটি।এগুলোকেই আমি আমার ভাবনার মাঝে তুলে ধরতে চাই।
আমার নিজস্ব কিছু মতোবাদ আছে যদিও সেগুলো খুব সামান্যই।না থাক সেগুলো নাই বললাম।
আচ্ছা মৃত্যু জিনিসটা আসলে কি?
আমার মতে আমাদের আত্মাকে আমাদের শরীরটি বহন করতে খুব কষ্ট হয়।যখন সব কিছুরই স্বাধিনতা থাকতে পারে তাহলে আমাদের আত্মাও স্বাধিন হওয়ার অধিকার রাখে।সেই অধিকারের নামই কি মৃত্যু?
ধর্মীয় বিষয় নিয়ে খুচাখুচি না করাই ভালো।তা নাহলে মানুষ আমাকে নাস্তিক এর তকমা লাগিয়ে দেয় তার কোন ঠিক নেই।
আরেকটি কথা।পৃথবীতে কি মায়ার কোন জায়গা আছে?মানে মায়া কি পৃথিবীতে ভালো কিছু তৈরি করতে পারে?
সাহিত্যের দিক দিয়ে বলতে গেলে,না।কেনোনা যখন সাহিত্যিক কারও প্রতি মায়ার বাধনে আটকা পরে যায় তখন তাকে দিয়ে মহৎ কোন সৃষ্টি সম্ভব না।
আমার তো মনে হয় এই লিখালিখির দুনিয়াটি নিজেই একটি মায়া।না আমি এই মায়ার দুনিয়া পছন্দ করি না কিন্তু লিখালিখিকে পছন্দ করি।
সাহিত্যিকরা তাদের সৃষ্ট চরিত্রের মাঝে জীবন প্রদান করেন কি নিপুণভাবে কিন্তু আমি কেনো পারিনা?
কারন আমার ভেতর তেমন প্রতিভা নেই।
হ্যাঁ আমি জানি আমি হয়তো সাহিত্যিক নই কিন্তু সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা তো আছে,আমার মনের কথা ফুটিয়ে তোলার অধিকার তো আছে।
আজ আমি এসব কথা কেন বলছি সেটি আমি নিজেও জানি না।এগুলো লিখার দরকার কি কিছুই জানি না।
আমার কল্পনায় মাঝে মাঝে একটি নীল শাড়ি পরা মেয়েকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি কিন্তু মেয়েটির পরিপূর্ণ রুপ কল্পনা করতে পারিনা।সে যেন দূরে খুব দূরে অবস্থান করছে।যেদিন এই দূরত্ব ঘুচবে সেদিন আমি মায়ায় আটকে যাবো হয়তো।মায়ায় আটকা পরতে আমি চাই না কিন্তু মেয়েটিকে আমি পরিপূর্ণ রূপে দেখতে চাই।
আচ্ছা এই সাদা মেঘগুলোর অন্য দিকে কি আছে?
নিশ্চয়ই অন্য কোন দুনিয়া আছে যাকে আমরা কল্পনায় আনতে পারিনা।ধোঁয়াশার মতো থেকে যায়।এই মেঘগুলোকে আমরা ধরতে পারিনা দেখে এতো ভালো লাগছে কিন্তু যদি ছুতে পারতাম তাহলে হয়তো এতো ভালো লাগতো না।
হুমায়ন আহমেদ এই মেঘ নিয়ে কিছু একটি লিখেছেন হয়তো যা আমি এখন মনে করতে পারছি না।
খুব করে মনে করার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

#শেষ_বেলা

এটিও কোন এক পোষ মাসের গল্প। আমার স্মৃতি শক্তি ম্লান হয়ে আসছে। এখন আর সকল কিছু ঠিকমতো মনে করতে পারি না। কতো শত গল্প যেন ঘন কুয়াশার আড়ালে আত্ম...